ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িতরা মাদকাসক্ত ছিলেন। বাস থেকে লুট করা একটি মুঠোফোনের বিনিময়ে তাঁরা গাঁজা সংগ্রহ করেন। সেই গাঁজা বিক্রেতার সূত্র ধরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ডাকাত চক্রের সদস্যরা। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, এ চক্রের সদস্যরা অতিমাত্রায় মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
গত সোমবার মধ্যরাতে ইউনিক রোড রয়েলসের (আমরি ট্রাভেলস) একটি বাসে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে বাসটি ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়। এরপর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় ডাকাত দল। তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকজন নারী যাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হন।
ঘটনার তিন দিন পর, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক যাত্রী, ওমর আলী, মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আহসানুজ্জামান জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হন যে, ডাকাত চক্রের সদস্যরা মূলত সাভার ও আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তদন্তের এক পর্যায়ে তাঁর একজন তথ্যদাতা জানান, ওই এলাকায় কিছু মাদকাসক্ত যুবক নিয়মিত বাস ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সাভার অঞ্চলের এক মাদক কারবারির কাছ থেকে নিয়মিত গাঁজা ও হেরোইন সংগ্রহ করেন। এরপর, শুক্রবার বিকেলে সাভারের চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের একটি পেট্রলপাম্পের সামনে থেকে ওই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।