যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতি: আত্মসমর্পণকারী দুই কর্মকর্তা কারাগারে
যশোর শিক্ষা বোর্ডের বহুল আলোচিত চেক জালিয়াতি মামলায় আত্মসমর্পণকারী দুই আসামি গাজী নুর ইসলাম ও আশরাফুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
আসামি গাজী নুর ইসলাম শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার এবং আশরাফুল আলম শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথি অনুযায়ী, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করে। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক আল আমিন, তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন:
-
বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম
-
ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু
-
প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন
-
উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম
-
রকিব মোস্তফা
-
বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ
-
নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী
-
চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে সকল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পলাতক অবস্থায় থাকায় গাজী নুর ইসলাম ও আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন পুলিশি গ্রেফতার এড়ান। মঙ্গলবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।