অধ্যাপক ইউনূসের 'পদত্যাগের ইঙ্গিত': রাজনৈতিক দল ও সরকারের প্রতিক্রিয়া



বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন চলছে টালমাটাল এক সময়ে, যেখানে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে দ্রুতগতিতে। সর্বশেষ সংযোজন—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগের খবর।


গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে ইউনূস সরে দাঁড়াতে পারেন—এমন খবর পেয়ে তিনি তার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন।


একইদিন সন্ধ্যায় বিএনপি অভিযোগ তোলে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু 'বিতর্কিত উপদেষ্টা'কে সরানো উচিত, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করে তারা।


এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা।



গত ১৪ই মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। শুরুতে এই আন্দোলন মেয়র শপথ ঘিরে হলেও পরে তা মোড় নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে।


এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক শীর্ষ নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে 'বিএনপির মুখপাত্র' আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে আসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ করতে চাওয়ার গুঞ্জন। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চলেছেন।