"মানবাধিকার রক্ষায় গুমের সংস্কৃতি অবসান জরুরি" — তারেক রহমান
গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হলে বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রতিবছরের মতো এ বছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে ‘গুম সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে আমাদের হাতে তথ্য রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “এই গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই এখনও নিখোঁজ, অনেকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আবার কাউকে দীর্ঘ সময় পর ‘গ্রেপ্তার’ দেখানো হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত বর্বর দুঃশাসনের দৃষ্টান্ত।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “উল্লেখিত সংখ্যাটি নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে। তবে বহু পরিবার আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো রিপোর্টই করতে পারেনি।”
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়াও ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী এবং সাধারণ নাগরিকরাও এর শিকার হয়েছেন।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ,”—উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “গুম হয়ে যাওয়া মানুষদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে আমি তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাতে আর কোনো নাগরিক গুমের শিকার না হন, সে জন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেন আর কোনো নাগরিক গুমের মতো অমানবিক ঘটনার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।”