“১০ মাসেই শত শত কোটি টাকা কামিয়েছে উপদেষ্টাদের পিএসরা”—রুমিন ফারহানা

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “মাত্র ১০ মাসেই উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত সহকারীরা (পিএস) শত শত কোটি টাকা উপার্জন করেছে।” তিনি বলেন, “যেখানে রাজনীতিবিদদের এত অর্থ উপার্জনে ১৫ বছর সময় লাগে, সেখানে এদের তিন-চার মাসেই সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠছে।”

বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন ফারহানা বলেন, “রাজনীতিবিদদের অযথা দোষারোপ করে লাভ নেই। এখন যে তথাকথিত ‘অরাজনৈতিক’ সরকার এসেছে, তারা একই রকম লোভী, দুর্নীতিগ্রস্ত ও মিথ্যাবাদী। অন্তত রাজনৈতিক সরকারগুলো ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ এবং বাজার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো। কিন্তু আজ সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আজকে উপদেষ্টারা ফেরেশতা, আর তাদের পিএসরা যেন ইবলিশ—এমন তত্ত্ব প্রচার করা হচ্ছে। অথচ ইতিহাস সাক্ষী, একটা সময় একজন পিএসের জন্য বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে জীবনের শেষ দিনগুলোতে কালো বিড়ালের তকমা নিয়ে কাটাতে হয়েছিল। তখন জনগণ তাকে ক্ষমা করেনি। কিন্তু আজকে যাদের কোনো পারিবারিক বা পেশাগত ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তাদের পিএসরা অল্প সময়ে অগণিত সম্পদের মালিক হয়ে যাচ্ছে।”

জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের জবাবদিহিতার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের দিনের শেষে জনগণের কাছে ফিরতে হয়, জবাব দিতে হয়। কিন্তু উপদেষ্টারা জনবিচ্ছিন্ন। তারা আজ বাংলাদেশে থাকলেও কালই হয়তো আমেরিকা, লন্ডন বা সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমাবে—তাদের কোনো দায় নেই, কোনো জবাবদিহি নেই।”

চলমান বাজেট ও বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সমালোচনা করে রুমিন বলেন, “নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো হচ্ছে। এ কৌশল আমাদের অচেনা নয়। শেখ হাসিনাও অতীতে এই খেলাগুলোই খেলেছেন। এখন যারা ‘সুশীল মুখ’ নিয়ে আসছেন, তারাও মূল বিষয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারছেন না, কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না।”