‘জায়নিস্ট আগ্রাসন চললে ইসরাইলের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা’: হুঁশিয়ারি ইরানের
ইসরাইলের দখলদারতামূলক আচরণ অব্যাহত থাকলে তাদের যেকোনো স্থাপনায় ‘অবিরাম হামলা’ চালানো হবে—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি।
বৃহস্পতিবার আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহর সহায়তায় জায়নিস্টদের যেকোনো লক্ষ্যে হামলা চালাতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমাদের সামনে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।”
তিনি আরও বলেন, ঘাঁটির সেনারা ‘চূড়ান্ত মনোবল ও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি’ নিয়ে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল লক্ষ্য করে আইআরজিসির নিখুঁত ও বিধ্বংসী হামলাগুলোকে তিনি প্রশংসনীয় বলেও মন্তব্য করেন।
এর আগের দিন, আইআরজিসি জানায় যে তারা ইসরাইল লক্ষ্য করে শক্তিশালী দুই ধাপবিশিষ্ট ‘সেজ্জিল’ নামের দীর্ঘপাল্লার ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
১৩ জুন রাতে ইসরাইল তেহরানের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এ হামলাকে তেহরান ‘উসকানিমূলক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছে।
হামলার পরদিনই সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, “ইসরাইলের জন্য সামনে অন্ধকার দিন অপেক্ষা করছে।” একইসঙ্গে তিনি নতুন সামরিক নেতৃত্বও নিয়োগ দেন।
এরপর ইরান হাইফা, তেলআবিবসহ অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে। মুসাভি পরে জানান, ইরান এখন ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’ নয়, বরং ‘শাস্তিমূলক আঘাত’ নীতিতে চলছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, সর্বশেষ হামলায় ইসরাইলের অন্তত ৫০ জন নাগরিক নিহত হয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ