ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপাত জেলার একটি খাল থেকে মডেল শীতল চৌধুরীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে তার প্রেমিক সুনীলকে, যিনি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার রাতে পানিপাত জেলার আহার গ্রামে একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং চলছিল। সেসময় সুনীল সেখানে গিয়ে শীতলকে গাড়িতে করে নিয়ে যান। এরপর তারা একসঙ্গে কিছু পানীয় গ্রহণ করেন এবং পুরোনো একটি বিষয় নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, যা পরে সহিংসতায় রূপ নেয়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সুনীল প্রথমে শীতলকে বেধড়ক মারধর করেন এবং পরে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গাড়িসহ একটি খালে ফেলে দেন তিনি।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে শীতল তার বোন নেহাকে ভিডিও কলে জানায়, সুনীল তাকে মারধর করছেন। এরপর থেকেই তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
রোববার সোনিপাতের একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করা হয়। সেসময় তিনি দাবি করেন, গাড়িটি দুর্ঘটনাবশত খালে পড়ে গিয়েছিল। তিনি কোনোমতে সাঁতরে বাঁচলেও শীতল নিখোঁজ হন বলে জানান। তিনি নিজেও পরে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তবে সোমবার পানিপাত জেলার খারখোদা এলাকার রিলায়েন্স খাল থেকে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যায়, মরদেহটি শীতল চৌধুরীর।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, শীতল ও সুনীলের ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল। সুনীল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পরে জানা যায় তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা। এই প্রতারণার কারণে শীতল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। শীতল নিজেও বিবাহিত এবং তার পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
সোনিপাত পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিবরণ দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।