মরক্কোতে কুরবানিতে নিষেধাজ্ঞা: কী বলছে রাজকীয় আদেশ?
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কোতে এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি না দেওয়ার সরকারি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দেশটিতে ঈদ উদযাপিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজা মোহাম্মদ পঞ্চমের এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে কুরবানি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার মরক্কোর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তৌফিক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এই ডিক্রি পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, চলমান খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশটিতে পশুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যেসব পশু এখনও বেঁচে আছে, সেগুলো সংরক্ষণের স্বার্থেই এবার কুরবানি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুরবানি নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত মূলত কৃষি খাতের স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কুরবানির পশু পরিবহনের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এমনকি পশু জব্দ ও মোটা অঙ্কের জরিমানার কথাও জানানো হয়েছে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশটির কৃষক সমাজ। মরক্কোর একটি কৃষি সংগঠনের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আমের জানান, বহু কৃষক ঈদকে ঘিরে পশু বিক্রির আশায় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এখন কুরবানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তিনি ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুরবানির পশু জব্দ করছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, তারা এই সরকারি আদেশ মানবেন না এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কুরবানি করবেন।