ময়মনসিংহে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১, আহত বহু

ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে ফুলপুরে বাস-মাহেন্দ্র সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৮ জন এবং তারাকান্দায় অ্যাম্বুলেন্স-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্রর ৮ যাত্রী নিহত

শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরারপার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে ফুলপুর ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, “দুর্ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

তারাকান্দায় অ্যাম্বুলেন্স-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৩

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজারসংলগ্ন হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন চালকসহ আরও তিনজন।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান তারাকান্দা থানার ওসি মো. টিপু সুলতান। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে

পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম রাতেই দুটি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মনে হয়েছে যানবাহনগুলোর বেপরোয়া গতিই দুর্ঘটনার মূল কারণ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”