পুনর্লিখনকৃত প্রতিবেদন শিরোনামসহ:
ইসরাইলি ভূখণ্ডে ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইরানের, আতঙ্কে আশ্রয় খুঁজছে জনগণ
ইসরাইলের উদ্দেশ্যে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। শনিবার (২১ জুন) ভোর ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
টাইমস অব ইসরাইল-এর বরাতে জানা যায়, ইরান থেকে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
যেসব অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে ইতোমধ্যে সাইরেন বাজানো শুরু হয়েছে। তবে কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে কিংবা এগুলো ইসরাইলের কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে—সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানায়নি আইডিএফ।
এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ হলে কূটনৈতিক আলোচনা বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইরান। জেনেভায় ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি একথা জানান।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইলকে হামলা কমানোর অনুরোধ করার সম্ভাবনা আপাতত খুবই সীমিত। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে এ অনুরোধ করা অত্যন্ত কঠিন।”
আইডিএফ প্রধান ইয়াল জামির দাবি করেছেন, ইরানে হামলার জন্য ‘বছরের পর বছর’ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তা আরও গোপনীয়ভাবে ত্বরান্বিত হয়েছে।
শুক্রবার ইরানের ওপর নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জবাবে ইরানও ইসরাইলের হাইফা শহরে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
আইডিএফ জানিয়েছে, সর্বশেষ ইরান থেকে ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তবে এগুলো মধ্য ও দক্ষিণ ইসরাইলে আঘাত করলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি বলেন, “ইরান-ইসরাইল সংঘাত যে আগুন ছড়িয়ে দিতে পারে, তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।”