যশোরে ‘নগদ’ ছিনতাইয়ের ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই ৭ জন গ্রেফতার, উদ্ধার ৩২ লাখ টাকা

যশোরের মণিরামপুরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩২ লাখ টাকাও।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মণিরামপুরের জামতলা এলাকায় নগদের প্রাইভেটকার আটকে চার দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্রের মুখে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালায় পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাত ৩টার মধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার এবং উদ্ধার করা হয় বিপুল অর্থ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নগদের গাড়িচালক ইউসুফ আলী ওরফে সাজু, তার ভায়রা ভাই ইমদাদুল গাজী এবং সহযোগী সুজন ইসলাম। তারা আরও চারজনকে—রনি গাজী, সাগর হোসেন, সোহেল রানা ও নাসিম গাজীকে—ঘটনায় যুক্ত করে। ছিনতাইয়ের পর পুলিশ সাগরকে আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামিদের গ্রেফতার করে।

ইমদাদুল গাজীর কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজন ইসলামের কাছ থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তবে ছিনতাইকৃত অর্থের পরিমাণ নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। প্রথমে নগদের পক্ষ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের দাবি করা হলেও পরবর্তীতে তাদের হিসাব ও পুলিশের তদন্তে দেখা যায়, প্রকৃত অঙ্ক ৩৫ লাখ টাকার আশেপাশে। স্থানীয় বিতর্কিত কাউন্সিলর হাজী সুমনের নামও ছিনতাই নাটকের পেছনে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যদিও পুলিশ এখনো সে বিষয়ে নিশ্চিত নয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা ছিনতাইয়ের ঘটনার দ্রুত উদ্‌ঘাটন ও অর্থ উদ্ধারে অগ্রাধিকার দিয়েছি। অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।