ঈদের নামাজে রাকাত ছুটে গেলে করণীয় কী?
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা—ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মহিমান্বিত এক উৎসব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি; কেউ অপেক্ষা করছেন প্রভাতের প্রথম তাকবির শোনার আশায়। সমাজে এটি ‘কুরবানির ঈদ’ কিংবা ‘বকরা ঈদ’ নামেও পরিচিত। দিনটির সূচনা হবে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজের মাধ্যমে। তবে কখনও কখনও এই নামাজে দেরিতে পৌঁছানোর কারণে রাকাত ছুটে যেতে পারে। তখন করণীয় কী?
যদি কেউ ইমামের কেরাত শুরু করার পর নামাজে শরিক হন, তাহলে তাকবিরে তাহরিমা বলার পর অতিরিক্ত তিন তাকবির আদায় করে ইমামের অনুসরণ করবেন (মুসান্নাফে আব্দুর রায্জাক, ৫৭১৪)।
যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পান এবং মনে করেন যে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে—তাহলে তাকবিরগুলো দাঁড়িয়ে বলবেন। অন্যথায়, শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে সরাসরি রুকুতে চলে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় হাত না তুলে বাকি তাকবিরগুলো আদায় করবেন (আলবাহরুর রায়েক: ১/১৬১)।
যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতে নামাজে শরিক হন, তবে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দাঁড়িয়ে সুরা-ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়বেন, এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির আদায় করবেন (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩)।
আর কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর কিংবা তাশাহুদের সময় জামাতে যোগ দেন, তবে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দাঁড়িয়ে প্রথমেই অতিরিক্ত তাকবির তিনটি বলবেন, এরপর সুরা কেরাত পড়ে দ্বিতীয় রাকাতের মতো অতিরিক্ত তাকবির বলেই নামাজ সম্পন্ন করবেন (ফাতাওয়া খানিয়া: ১/১৮৫)।
ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত, অস্বস্তিকর এবং অনেক সময় বিভ্রান্তিকরও বটে। কারণ, অন্যান্য নামাজের তুলনায় ঈদের নামাজের পদ্ধতিতে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। তাই অলসতা কিংবা অবহেলার কারণে যেন ঈদের দিনের প্রথম আমল—এই পবিত্র নামাজ—না হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে আগেভাগেই সচেতন থাকা আবশ্যক।