মাহফিল একটি ইসলামী সমাবেশ, যেখানে ধর্মীয় আলোচনা, কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত এবং দোয়া পরিচালিত হয়। মাহফিলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা যেতে পারে, যা ইবাদতের ফজিলত বৃদ্ধি করবে। নিচে কিছু আমল উল্লেখ করা হলো—
১. নিয়ত বিশুদ্ধ করা মাহফিলে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য যেন শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়, লোক দেখানো বা অন্য কোনো দুনিয়াবি স্বার্থ না থাকে।
২. কুরআন তেলাওয়াত শোনা ও পড়া মাহফিলে কুরআন তেলাওয়াত করা এবং তা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয় এবং সওয়াবের কাজ।
৩. আল্লাহর জিকির করা সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি জিকির বেশি বেশি করা উচিত।
৪. রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা মাহফিলে নবীজি (সা.)-এর জীবনী ও গুণাবলি আলোচনা হয়। তাই বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ।
৫. সত্যিকার শিক্ষা গ্রহণ করা মাহফিলের আলোচনাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সেখান থেকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
৬. তওবা ও ইস্তিগফার করা মাহফিলের বরকতে আল্লাহর কাছে নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে সৎপথে থাকার প্রতিজ্ঞা করা উচিত।
৭. দোয়া করা মাহফিলে উম্মতের জন্য, নিজের জন্য, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য দোয়া করা উচিত। সম্মিলিত দোয়ার বড় ফজিলত রয়েছে।
৮. দ্বীনি আলোচনা অন্যদের কাছে পৌঁছানো মাহফিলে শেখা জ্ঞান অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া একটি মহৎ আমল।
৯. সদকা বা দান করা মাহফিল উপলক্ষে গরিব-দুঃখীদের মাঝে কিছু সদকা বা দান করা যেতে পারে, যা সওয়াবের কাজ।
১০. সুন্দর ও শালীন পোশাক পরা মাহফিলে ইসলামের বিধান অনুসারে পরিপাটি ও শালীন পোশাক পরা উচিত, যা সৌন্দর্য ও শালীনতার প্রতীক। এভাবে মাহফিলে অংশগ্রহণ করলে তা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি ইবাদত হয়ে উঠবে এবং আখিরাতে উপকার বয়ে আনবে।
Post a Comment
0
Comments
Social Bar
১৬ বছরে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ
0 Comments