গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় আজ ‘মার্চ ফর গাজা’

গাজায় দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি চলবে মাগরিবের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এই সমাবেশে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পাঁচটি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইসলামি বক্তা আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ:
সবার প্রতি সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, “অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করাও আমার দায়িত্ব।” এই সচেতনতা নিয়েই যেন সবাই ঘর থেকে বের হন।

২. পরিচ্ছন্নতা ও প্রস্তুতি:
সমাবেশস্থল ও তার আশপাশ নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখা, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস—যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন হলে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় চিকিৎসা টিম ও অ্যাম্বুলেন্স থেকে সাহায্য নেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।

৩. উত্তেজনা পরিহার ও আইন মান্য করা:
যেকোনো পরিস্থিতিতে সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।”

৪. শান্তিপূর্ণ ও শালীন উপস্থিতি:
দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো প্রদর্শনী এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, “শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করতে হবে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক নয়। সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করে প্রতিবাদ জানানো যেতে পারে।”

৫. জুলুমের বিরুদ্ধে, কিন্তু জুলুম নয়:
তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, “জুলুমের প্রতিবাদ কখনো আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।” যারা জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে প্রতিবাদের ভাষা বানাতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার, ‘মার্চ ফর গাজা’-তে সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়ে আহমাদুল্লাহ একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
“বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল ও মতের মানুষের সম্মিলিত উপস্থিতি দেখা যাবে ইনশাআল্লাহ।”

তিনি জানান, এই কর্মসূচিতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনসহ রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন—বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, ‘আমার দেশ’-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, আরজে কিবরিয়া, লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রমুখ।