সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে সমালোচনার ঝড়, চুপ্পুর অফিস থেকে ফোনে মুক্তির অভিযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মামলার আসামি থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দফতর থেকে ফোন পাওয়ার পর বিমানবন্দরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ দাবি করেছেন, “আবদুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল, কিন্তু রাষ্ট্রপতির (চুপ্পু) অফিস থেকে ফোন আসতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” তিনি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে লিখেছেন, “এরপরও কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করে যাওয়া সম্ভব? হয় চুপ্পুকে সরান, লীগকে নিষিদ্ধ করুন, না হয় নিজেরা সরে যান।”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে। তাদের দাবি, হামিদকে দেশত্যাগে সহায়তা করায় সরকারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে হবে, নতুবা দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়। ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
একই ইস্যুতে ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ‘ছাত্র উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “ছাত্র উপদেষ্টারা তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করুন, নয়তো আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে।”
এদিকে ‘টক অব দ্য কিশোরগঞ্জ’ হিসেবে এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, আবদুল হামিদ এবং তার শ্যালক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. নওশাদ খান—উভয়েই মামলা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে চলে যেতে সক্ষম হয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের মনে ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
0 Comments