গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে শিশুরা। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় ১৭ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে, যা আনাদোলু এজেন্সি প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনি শিশু দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজায় শিক্ষা ইসরাইলি বাহিনীর সরাসরি আক্রমণের শিকার হচ্ছে, যার ফলে স্কুল ধ্বংস হচ্ছে এবং শিশুদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
এতে আরও বলা হয়, “চলমান যুদ্ধের কারণে গাজা, জেরুজালেম এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের 'এরিয়া সি' অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।”
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “গাজায় ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে, যা শিশুদের দুর্দশার গভীরতা ও প্রতিটি নিহত শিশুর জীবনের মূল্য, স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।”
এছাড়া, প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় গাজার শিশুদের স্থিতিস্থাপকতা তুলে ধরেছে, যারা তাদের শিক্ষার অধিকার ধরে রেখেছে এবং সেটিকে উন্নত ভবিষ্যতের একমাত্র পথ হিসেবে দেখছে। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল স্কুল এবং বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচার করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান হামলায় ফিলিস্তিনি শিশুরা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হতাহতদের ৬০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ, যার মধ্যে পশ্চিম তীরে ৩.৪ মিলিয়ন এবং গাজায় ২.১ মিলিয়ন শিশু রয়েছে।
0 Comments