পরিসংখ্যান বাড়ানোর চেষ্টা, নাকি আত্মবিশ্বাসের ভাঙন? সিলেটে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস

ভক্ত-সমর্থকদের একাংশের ধারণা ছিল, পরিসংখ্যানটা খানিকটা সুন্দর করে তুলতেই জিম্বাবুয়েকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সিরিজে। সেই ধারণা যদি সত্যও হয়, মাঠের পারফরম্যান্সে তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। সিলেটে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ।

মাত্র ৬১ ওভার টিকেছে ব্যাটিং। শেষ সেশনে খেলাই হয়েছে কেবল ১১ ওভার। মুমিনুল হক ছাড়া কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি।

প্রথম সেশন ছিল মোটামুটি। তবে দ্বিতীয় সেশনে একেবারেই পথ হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। ১২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দল হঠাৎ করেই ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর যা হওয়ার তাই—বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।

দিনের শুরুটা যদিও আশাব্যঞ্জক ছিল। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম সাবলীলভাবে শুরু করেন। বল ব্যাটে আসছিল, দু-তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। দুজনই আউট হন ১ রানের ব্যবধানে।

৩১ রানে সাদমান আউট হন ভিক্টর নুয়াইসির বলে, গালিতে ক্যাচ দেন। ১২ রান ছিল তার সংগ্রহ। পরের বলেই জয়ও একই বোলারের শিকার হন—১৪ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন।

তৃতীয় উইকেটে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন মুমিনুল হক ও শান্ত। ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। শান্ত ৬৯ বলে ৪০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর মুশফিকুর রহিম এসেও ব্যর্থ। মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন তিনি।

একের পর এক উইকেট হারানোর মাঝেই একমাত্র মুমিনুল লড়াই চালিয়ে যান। ১০৫ বলে ৫৬ রান করে মাসাকাদজার বলে আউট হন তিনি।

বাকি ব্যাটারদের কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।

  • মেহেদী মিরাজ – ১ রান

  • তাইজুল ইসলাম – ৩ রান

  • হাসান মাহমুদ – ১৯ রান

  • জাকের আলী – ২৮ রান

  • এবং শেষ ব্যাটার স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ইনিংসের ৬১তম ওভারের শেষ বলে।

জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে:

  • মুজারাবানি ও মাসাকাদজা ৩টি করে উইকেট নেন,

  • ২টি করে উইকেট নেন নুয়াইসি ও মাধেভেরে।

এমন ব্যাটিং ভরাডুবির পর প্রশ্ন উঠতেই পারে—সিরিজটা কি আদৌ প্রস্তুতি নাকি আত্মবিশ্বাসে ধস নামানোর উপলক্ষ হয়ে দাঁড়াল?