আকাশে নারীর গর্জন: আয়েশা ফারুকের ইতিহাসগড়া রাত

রাত তখন গভীর। চারদিকে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা। নিঃশব্দ আকাশে হঠাৎ গর্জে ওঠে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। ককপিটে বসা ছিলেন সেই সাহসিনী—আয়েশা ফারুক। মুহূর্তেই ছুড়ে দেন একটি এআইএম-১২০সি ক্ষেপণাস্ত্র। নিশানায় ভারতীয় রাফাল। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ধ্বংসসাধনে লাগে ৮.৭ সেকেন্ড, আর ৪ সেকেন্ডেই যেন আকাশ থেকে মুছে যায় এক ‘গর্বিত’ যুদ্ধযান। রাফালের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের শক্তিমত্তা ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ‘বাজপাখি’ আয়েশার নিখুঁত কৌশলে।

সেদিন শুধু একটি বিমান নয়, ভেঙে যায় এক প্রচলিত বিশ্বাস—যে আকাশ যুদ্ধ কেবল পুরুষের আধিপত্যের জায়গা। ইতিহাসে প্রথমবার, একজন নারী পাইলট ভূপাতিত করেন পশ্চিমা প্রযুক্তির অন্যতম শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান রাফালকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি রাফাল নির্মাতা কোম্পানিও সে ধ্বংসের সত্যতা মেনে নেয়।

সাহসী মেয়েটির নাম আয়েশা ফারুক

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে জন্ম নেওয়া আয়েশার জীবনের শুরুটা ছিল সংগ্রামে ভরা। মাত্র তিন বছর বয়সেই হারিয়েছেন পিতাকে। মা-ই ছিলেন তাঁর একমাত্র শক্তি, যিনি কঠিন সময়েও মেয়েকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি উপেক্ষা করে আয়েশা সিদ্ধান্ত নেন—তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।

পাকিস্তানের মতো একটি রক্ষণশীল সমাজে এ পথ ছিল খুব সহজ নয়। বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে গিয়ে প্রথম ধাক্কাটা এসেছিল নিজের পরিবার থেকেই। এরপর একের পর এক বাধা—প্রশিক্ষণের কষ্ট, পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, নিজের দক্ষতা প্রমাণের দায়—সবকিছু পার করে উঠে এসেছেন তিনি।

কঠিন প্রশিক্ষণ ও অবিচল মনোবল

ফাইটার জেট চালানো কোনো সাধারণ কাজ নয়—শারীরিক ফিটনেস, মানসিক চাপ, দীর্ঘ প্রশিক্ষণ—সবকিছুতেই নিজের শ্রেষ্ঠটুকু দিতে হয়। ভোর ৪টায় দিন শুরু, রাত ১২টা পর্যন্ত চলতে থাকা রুটিন। আয়েশা বলেন, “শুরুর দিকে অনেকে ভাবত আমি পারব না। কিন্তু ওদের সেই সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ় করেছে।”

আজ পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে সক্ষম। আয়েশা তাদের মধ্যে একমাত্র যিনি সরাসরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সফল আক্রমণ চালিয়েছেন।

ইতিহাস গড়ার সেই রাত

৬ মে রাত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় একটি রাফাল ঢুকে পড়ে সীমান্তসংলগ্ন আকাশে। মুহূর্তেই পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক হয়। তখনই ফ্লাইং অফিসার আয়েশা ফারুক ছুড়ে দেন সেই AIM-120C ক্ষেপণাস্ত্র। এক নিখুঁত নিশানায় রাফাল পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। শুধু যুদ্ধের মানচিত্রেই নয়—নারীর ক্ষমতায়নের ইতিহাসেও যুক্ত হয় এক নতুন অধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা শুধু সামরিক সাফল্য নয়, এটি পাকিস্তানি নারীদের জন্য এক যুগান্তকারী বার্তা—সাহস, প্রতিজ্ঞা ও পরিশ্রম থাকলে নারীরাও হতে পারেন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যূহের অংশ।

এক যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

সেই একই সময়, ভারতের হামলায় প্রাণ হারান পাকিস্তানের ১১ সেনা ও ৪০ বেসামরিক নাগরিক। পাল্টা অভিযানে নামে পাকিস্তান। একাধিক দিনব্যাপী সংঘর্ষ শেষে ১০ মে উভয় দেশের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে দেখা যায় ড্রোন এবং বিস্ফোরণের দৃশ্য। আকাশে লাল আলো আর বিস্ফোরণ—উপমহাদেশের অস্থির আকাশ যেন আরও বিভাজনের বার্তা নিয়ে আসে।


শেষ কথা

আয়েশা ফারুক আজ এক নাম নয়, এক অনুপ্রেরণা। তার আকাশজয়ের গল্প শুধু পাকিস্তানের নয়, বিশ্বের প্রতিটি সাহসী মেয়ের জন্য—যারা প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।