প্রাথমিকে কোটাবিহীন বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই, ১৫ হাজারের বেশি পদে নিয়োগের সম্ভাবনা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই একটি বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
সূত্র জানায়, নতুন বিধিমালায় নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের বিধিমালায় ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। তবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ আসনে অগ্রাধিকার থাকবে।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে, যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় বেড়ে ১০ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আরও ৫ হাজার ১৬৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশের ২,৫৮৩টি ক্লাস্টারের প্রতিটিতে একজন করে সংগীত ও একজন করে শারীরিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণত পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় না। তবে চলমান পদোন্নতির ফলে সহকারী শিক্ষক পদে আরও শূন্যতা সৃষ্টি হবে, যা নতুন নিয়োগে যুক্ত হবে। প্রায় ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি পেলে, তাদের পরিবর্তে নতুন নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
নতুন বিধিমালা বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর তা অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির মতামতের জন্য পাঠানো হবে। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরদিন থেকেই নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু হবে।
বর্তমান (২০১৯) বিধিমালায় ৬০% নারী, ২০% পোষ্য ও ২০% পুরুষ কোটা থাকলেও, ২০২৫ সালের নতুন বিধিমালায় এসব কোটা বাতিল করা হচ্ছে। তবে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, সরকারি চাকরির ১৩তম গ্রেডভুক্ত সহকারী শিক্ষক পদের ৭% কোটার মধ্যে থাকবে—বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার (৫%), ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী (১%) ও প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক (১%)। বাকি ৯৩% নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারও ইতিপূর্বে ঘোষণা দেন, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে শতভাগ মেধা ও প্রয়োজনভিত্তিক বিবেচনায়।
0 Comments