কাশ্মীরে পর্যটক হত্যার পর জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষ, নয়াদিল্লিতে জরুরি বৈঠকে মোদি

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর মধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার তংমার্গ অঞ্চলে জঙ্গিদের একটি দলের সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী। পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বুধবার বিকেল থেকে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গিদের ঘিরে ফেলেছে সেনা।

এর আগে মঙ্গলবার অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর হামলায় ২৬ জন পর্যটক এবং এক স্থানীয় টাট্টুচালক নিহত হন। সেনা সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরাই এই হামলার জন্য দায়ী।

ঘটনার জেরে কাশ্মীরজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এবিপি নিউজ জানিয়েছে, দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে—যাদের অনেকেই পূর্বে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বুধবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরলেও বৈঠকে ছিলেন না।

প্রধানমন্ত্রী মোদি সকালে সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফেরার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ডোভালের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং।

রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের কড়া জবাব দেওয়া হবে এবং শুধু হামলাকারী নয়, যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে, তারাও শাস্তি পাবে।