ট্রাম্পের ছায়া কাটিয়ে ফের ক্ষমতায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যালবানিজ
নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। রক্ষণশীলদের পুনরুজ্জীবনের হুমকি সত্ত্বেও এই ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ভোটারদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প-ঘেঁষা রাজনীতির প্রতি গভীর উদ্বেগ।
লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন পরাজয় স্বীকার করেছেন এবং নিজ আসনও হারিয়েছেন—যা ট্রাম্পবিরোধী মনোভাব থেকে অনুপ্রাণিত কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনের সঙ্গে তুলনাযোগ্য। অ্যালবানিজ বলেছেন, তার দল পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে এবং ‘অস্ট্রেলীয় মূল্যবোধ ও পরিচয়ে’ আস্থাশীল থাকবে।
এই জয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন গত দুই দশকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা দুইবার জয় পেলেন। অস্ট্রেলিয়ান ইলেকটোরাল কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ শতাংশ ভোট গণনার পর লেবার পার্টি পেয়েছে ৮১টি আসন—১৫০ আসনের সংসদে যা নিশ্চিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় ও ট্রাম্পের অনিশ্চিত নীতির আশঙ্কাই ছিল প্রধান ইস্যু। উত্তর টেরিটরির লিবারেল সিনেটর জাসিন্তা প্রাইস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক লিবারেলদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ডাটনের হারকে বড় ধাক্কা হিসেবে বর্ণনা করছেন দলের ভেতরকার নেতারাও। তারা বলছেন, ‘ট্রাম্প ফ্যাক্টর’ কানাডার মতো অস্ট্রেলিয়াতেও রক্ষণশীলদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচারণার কৌশল নিয়ে লেবার পার্টি আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন ট্রেজারার জিম চ্যালমার্স। তার ভাষায়, অ্যালবানিজের জয় “অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়”।
0 Comments